মসজিদের ইমাম হত্যা করলো ৭ বছরের এক বাচ্চাকে.


চারপাশে অমানবিক কর্মকান্ড দেখে মাঝে মাঝে আমিও অস্থির হয়ে পড়ি। কাকে বিশ্বাস করবো, কোথায় যাবো...?

মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় নরপশুর জন্য আজ আমাদের ছেলে-মেয়ের জীবন হুমকির মুখে।

মেয়েদের যৌনতার শিকার, বাচ্চাদের বলৎকারের ভয় অথবা এইসব নরপশুদের দ্বারা আমাদের সন্তান হত্যা-খুন হওয়ার ভয় প্রতিনিয়ত কাজ করছে।

ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে একটু ভিতরে ডেমরার মধ্যে ডগাইর নামক ছোট একটি এলাকার সাত বছরের ছোট্ট শিশু মনির হোসেনকে হত্যা করেছে ডগাইর নূরে আয়েশা জামে মসজিদের ইমাম মো. হাদিউজ্জামান!

তার বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাছির নগর।

অন্যদিনের মতন ওইদিন (৭ এপ্রিল, ২০১৯) মক্তবে পড়তে আসে ছোট্ট এই বাচ্চাটি। ছুটির পর সবাই বাড়িতে চলে গেলেও সে যেতে পারেনি। তাকে আটক রেখেছে মসজিদের ইমাম।

বাচ্চার মা-বাবা পাগলের মতন খোঁজা-খুঁজি করার একটা সময় ফোন আসে আর সে ফোনে বলা হয়, বাচ্চাকে ফেরত চাইলে ৩ লক্ষ টাকা সন্ধ্যার মধ্যে মসজিদের খাটিয়ায় যেন রেখে যায়। অন্যথায় বাচ্চার লাশ পাবে.....!!

গরীব বাবা-মা বহু কষ্টে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জোগাড় করে মসজিদের খাটিয়ার উপর রেখে আসার পরেও সকালে সন্তান আর বাসায় ফিরে আসেনি।

পরে টাকার কথা জানাজানি হয়ে গেলে এলাকাবসী পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ মসজিদের ইমামকে ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলে ইমাম দৌঁড়ে পালাতে চেষ্টা করে। পরে এলাকার লোকজন ধরে পুলিশের হাতে দিলে সে সব স্বীকার করে।

তার কথা মত মসজিদের ২য় তলার সিড়ির নিচে থেকে বাচ্চার গলা কাটা, পা বাঁধা, হাত কাটা মরদেহ উদ্ধার করে!

কী বীভৎস....



এই ইমামের কাছেই এই ছোট্ট বাচ্চাটি পবিত্র কোরআন পড়তো। আর তাকেই নির্মমভাবে হত্যা করেছে কুলাঙ্গার এই ইমাম হাদিউজ্জামান আর সহযোগিতা করেছে ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন।

সে এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন।

এবার আপনিই বলুন, তার বিচার কেমন হওয়া উচিত...?

এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে সচেতন করুন। আপনিও সচেতন হোন। সন্দেহ হলে সাথে সাথে পুলিশকে জানান। অন্যথায় ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য নিতে পারেন।

কবীর চৌধুরী তন্ময়

No comments

If you have any doubts. Please let me know.

Powered by Blogger.