নুসরাত বাঁচবে তো...?



নুসরাত বাঁচবে তো...?
  জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রীর আকুতি
চুরি করে হলেও দুই ফোঁটা পানি দাও বাবা
ঘুমাস নে মা চোখ খোলা রাখ : অসহায় বাবার আকুতি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মেয়েটি  যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। বারবার পানি চাইলেও তাকে পানি দেয়া হচ্ছে না।
বাবাকে পেয়ে ছাত্রীটি তার কাছে পানির জন্য আকুতি জানান। পানি দেয়া চিকিৎসকদের নিষেধ বলায় অনুরোধ করে ছাত্রীটি বলেন, ‘বাবা আমার গলাটা শুকিয়ে যাচ্ছে। চুরি করে হলেও দুই ফোঁটা পানি দাও বাবা।’ শরীরে ৭০ শতাংশের বেশি পোড়া ক্ষত নিয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ছাত্রীটি। মেয়েকে দেখতে গিয়ে অজানা আশঙ্কায় তাকে চোখ বন্ধ না করার আকুতি জানান অসহায় বাবা। তিনি বলেন, ‘ঘুমাস নে মা চোখ খোলা রাখ।’



পাশে বসে আছেন নুসরাতে হতভাগা মা। জিগ্যেস করলাম, নুসরাত কি তাকায়? কথা বলে? মায়ের মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয়না। পাথরের মত তাকিয়ে আছেন। কেউ ওকে দেখতে এসেছে বুঝতে পেরে নুসরাত হালকা চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলো আমাকে। আবার চোখ বন্ধ। চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল। আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলামনা সেখানে। বের হয়ে গেলাম।

বাহিরে নুসরাতের বাবা দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অসহায়ের মত। পিঁছন থেকে জড়িয়ে ধরে পরিচয় দিলাম। ঘুরে আমাকে জড়িয়ে ধরে হুঁ হুঁ করে কাঁদতে শুরু করলেন। কিছু জিগ্যেস করার, কোন শান্তনা দেয়ার ভাষা আমার আর অবশিষ্ট রইলনা। শুধু বললাম, আল্লাহ আপনাদের উপর রহমত নাযিল করুক।



পাশে একজন ডাঃ ৭১ টিভিতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। বলছেন, নুসরাতের বেঁছে থাকাটা মিরাকল হতে পারে। আমরা কোন আশার কথা বলতে পারছিনা। সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১০ দিন এধরনের প্যাশেন্ট সারভাইভ করতে পারে।

বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শ্যামন্ত লাল জানিয়েছেন, নুসরাতের চিকিৎসা ব্যায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ তথা সরকারই বহন করছে । 
যাইহোক, এখন একটাই দাবি রাফির সাথে যারা এমন জঘন্য, নিষ্ঠুর, কাজটা করেছে তাদির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

No comments

If you have any doubts. Please let me know.

Powered by Blogger.